সরকার ব্যর্থতা ঢাকতে ক্রমাগত হামলা করছে

আকাশছোঁয়া ডেস্ক : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে খুলনায় রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল রক্ষার আন্দোলনে পুলিশের হামলা ও ১২ জন নেতা গ্রেফতার এবং ধর্ষন বিরোধী লংমার্চে পুলিশ ও সরকারী দলের গুণ্ডাতন্ত্রের আক্রমনের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনিরউদ্দীপ পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় সদস্য দীপক রায় এবং কেন্দ্রীয় সংগঠক রণজিৎ মজুমদার, সৈকত মল্লিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকলগুলো রক্ষা এবং আধুনিকায়ন করে পুনরায় চালু করার দাবিতে পাটকলগুলোর শ্রমিকরা এবং প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বাম গনতান্ত্রিক জোটের আহবানে সারা দেশে রাজপথ রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি ছিলো এবং খুলনায় পাটশিল্প রক্ষা সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহবানে খুলনার শিল্পাঞ্চলে রাজপথ রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি ছিলো। সকাল থেকে খুলনার আটরা শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে শ্রমিকরা সমবেত হয়েছেন এবং তাদের কর্মসূচি পালন করেছেন। সেখানে পুলিশ বেপড়য়াভাবে লাঠিচার্জ করেছে এবং শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়েছে। শুধু তাই নয় সেখান থেকে পুলিশ ১৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় (পরে ২জনকে ছেড়ে দেয়া হয়)। টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। জুটমিলগুলোর কলোনীতে ঘরে ঘরে ঢুকে নির্যাতন চালানো হয়েছে ও গ্রেফতার করা হয়েছে।

গণসংহতি আন্দোলন ফুলতলা থানা কমিটির আহবায়ক অলিয়ার রহমান এবং ছাত্র ফেডারেশ খুলনা জেলা আহবায়ক আল আমিন শেখসহ পাট শিল্প রক্ষা সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য সচীব জনার্দন দত্ত নান্টুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের নিন্দা জানান জোনায়েদ সাকি। তিনি অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের নিশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

তিনি আরো বলেন, সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ধর্ষন ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নামে মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহসহ বিভিন্ন নারী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা। গত ১৬ ও ১৭ মার্চ ঢাকা থেকে নোয়খালীর বেগমগঞ্চ অভিমুখে লংমার্চে ফেনীতে পুলিশ ছাত্র লীগ ও যুবলীগের যৌথ হামলা হয়। এতে শাতধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তারপর বিভিন্ন জায়গায় এ লং মার্চে সরকারের গুÐাতন্ত্রের ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভোট বিহীন নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা সরকার জনসমর্থন না থাকয় তারা আন্দোলন, জনবিক্ষোভ দেখলেই ভয় পায়। ধর্ষকদের না ধরে, বিচারের ব্যবস্থা না করে উল্টো ধর্ষন বিরোধী আন্দোলন দমনে পুলিশ ও গুণ্ডাতন্ত্র লেলিয়ে দিচ্ছে। একই ঘটনা ঘটছে পটকলের আন্দোলনেও। পাটকলগুলোর জমি ও সম্পদ দখল করে লুট করার জন্য আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা আক্রমন চলছে ফ্যাসিবাদী কায়দায়। গতকাল নারায়ণগঞ্জে নাগরিক ঐক্যের সমাবেশে মাহমুদুর রহমানর মান্নার ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই অগণতান্ত্রিক সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ আর এক মূহুর্তের জন্যও বরদাশত করা ঠিক হবে না। সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে সাথে নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নাই।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, যে নীপিড়নের শাসন ও গোষ্ঠীতন্ত্র আওয়ামী লীগ দেশে চালাচ্ছে সে পরিস্থিতি পাল্টাতে হলে গণসংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ঘাড় ধরে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। যেহেতু সরকার বারবার আন্দোলনগুলোর টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করছে কাজেই জনগণের ঐক্যবদ্ধতা ছাড়া আর উপায় নাই।

 

শেয়ার করুন :