মুক্তি পেল ‘কাসিদা অব ঢাকা’

নিউজ ডেস্ক: এই ইট পাথরের নগরেও যে একসময় দারুণ দারুণ লোকজ সংষ্কৃতি ছিল তার কণ্ঠ তাই উচ্চারণ করছিল। এই কন্ঠস্বরটি ভাসছিল প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘কাসিদা অব ঢাকা’তে। কাসিদা ঢাকার হারিয়ে যাওয়া সংগীতগুলোর মধ্যে কাসিদা অন্যতম। সম্প্রতি এই সংগীত ধারা নিয়ে বাংলাঢোলের প্রযোজনায় প্রামাণ্যচলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন অনার্য মুর্শিদ।

কয়েকদিন আগে এটি ৫ টি দেশি অ্যাপে মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্রটি। এবার মুক্তি পেয়েছে বাংলাঢোলের ইউটিউব চ্যানেলে।

প্রামাণ্য চলচ্চিত্র থেকে জানা যায়, ঢাকায় কাসিদার জন্ম মুঘল আমলে। তখন এর বিষয় ছিল সম্রাটদের প্রশংসা ও গুণগান। মুঘলদের বিদায়ের পর এখানকার কাসিদাগুলো রমজান মাসকে কেন্দ্র করে রচিত হতে থাকে। শাহেদি, মার্সিয়া, নাত-এ রাসূল, ভৈরবী, মালকোষ প্রভৃতি রাগে এর সুর প্রয়োগ করা হয়। রমজানের কয়েকদিন আগ থেকেই কাসিদার রেওয়াজ শরু হত। রমজানের মাঝামাঝিতে ঢাকার অলিতেগলিতে কাসিদার প্রতিযোগীতা হত এবং শেষ দিকে এটা জমে উঠত।

নির্মাতা আনার্য মুর্শিদ বলেন, ঢাকার সংগীত নিয়ে গবেষণা করেছি পাঁচ বছর আগে। তবে সেটা ছিল পুস্তকি গবেষণা। জীবন জীবিকার কারণে মাঠে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এই চলচ্চিত্রটি আমাকে মাঠে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। কাজ করতে গিয়ে মনে হল, শুধু ঢাকার সংষ্কৃতি নিয়েও যদি কাজ করি কয়েক জীবন পার হয়ে যাবে। গ্রাম বাংলায় পরতে পরতে কি পরিমাণ সংষ্কৃতির ইতিহাস আছে তা আমরা অনেকেই জানি। নগর সংষ্কৃতির ভেতরে এগুলোকে আমরা হয়ত বাঁচাতে পারব না সত্য। কিন্তু সংরক্ষণ তো করতে পারি!

নির্বাহী প্রযোজক এনামুল হক বলেন, যে জাতি তার সংষ্কৃতিকে যত বেশি সংরক্ষণ করেছে সে জাতিকে ব্যখ্যা করতে ততবেশি সুবিধা হয়েছে। আমাদের মজ্জার উপদানগুলোকে বুঝার জন্য হলেও এগুলোকে আরো বেশি সংরক্ষণ করা উচিত। সংরক্ষণ যে হচ্ছে না যে তা নয়, আরো হওয়া দরকার।

শেয়ার করুন :