আকাশছোঁয়া ডেস্ক : সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান শফিকুল গানি স্বপনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
২৩ আগস্ট রবিবার নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আযোজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ জলিল, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজু, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া প্রমুখ।
স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এম.গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে শফিকুল গানি স্বপন ছিলেন আপসহীন। মওলানা ভাসানীর আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ন্যাপ পুনর্গঠনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার মেধাবী রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রাম আগামীতেও দুর্নীতি-দুবৃত্তায়নের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতাকর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বহু সময় ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে। জনগনের দাবি ও ভাষা বোঝে এমন একটি রাজনৈতিক শক্তি খুঁজছে সাধারণ মানুষ। বর্তমান শাসকগোষ্টি এমনকি যারা দেশ শাসন করতে চায় তারা জনগনের ভাষা বুঝতে পারছে না। সবাই ব্যাস্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে অথবা ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াইয়ে। যার ফলে জনগনের নেতা আজ খুজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দারিয়েছে।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে দেশে জাতীয় এজেন্ডা নির্ধারন ও জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নাই। যে লক্ষে শফিকুল গানি স্বপন আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন তা বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজনীতিতে মতবিরোধ থাকবে, প্রতিযোগিতা থাকবে, তার মানে এই নয় যে প্রতিহিংসা ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে সমর্থন করতে হবে। দেশ-জাতির স্বার্থে এক শুরে কথা বলতে হবে সবাইকে।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি