নিউজ ডেস্ক: রবিবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ চক্রবর্তী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার ভোর পৌনে পাঁচটায় তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করানো হয়। এর কিছুক্ষণ পর লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় রবিবার বিকেলে আলাউদ্দিন আলী মৃত্যুবরণ করেন।
দীর্ঘদিন ধরে আলাউদ্দিন আলী ফুসফুসের প্রদাহ ও রক্তে সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০১৫ সালের ৩ জুলাই তাকে ব্যাংকক নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, ফুসফুসে একটি টিউমার রয়েছে। এর পর অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ক্যানসারের চিকিৎসাও চলছিল। এর আগে বেশ কয়েক দফায় আলাউদ্দিন আলীকে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাতবার সংগীত পরিচালক ও একবার গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন আলাউদ্দিন আলী। বছর দেড়েক আগে তার চিকিৎসায় ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আলাউদ্দিন আলীর উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো: সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়, এই দুনিয়া এখন তো আর, আছেন আমার মোক্তার, সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী, যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ, চোখের নজর এমনি কইরা, এমনও তো প্রেম হয়, কেউ কোনোদিন আমারে তো কথা দিলো না, জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো, একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, দু:খ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়, বাবা বলে গেলো আর কোনোদিন, ভেঙেছে পিঞ্জর, বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম, আমায় গেঁথে দাও না মাগো, আমি আছি থাকবো, তুমি আরেকবার আসিয়া যাও মোরে কান্দাইয়া, এ সুখের নেই কোনো সীমানা, বৃষ্টিরে বৃষ্টি আয়না জোরে, কিছু কিছু মানুষের জীবনে, ইস্টিশনের রেলগাড়িটা।